২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আর শহীদ দিবস ২৬শে ফেব্রুয়ারি? না, ২১শে ফেব্রুয়ারিই শহীদ দিবস।এই শহীদ দের জন্যই ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের র্সব সম্মত স্বীকৃতি লাভ করে কিন্তু বাঙালির জন্য শহীদ দিবস ২৬ফেব্রুয়ারি।
আমাদেরে দেশের শিশুরা বর্তমানে বাংলা , ইংরেজী ও আরবী - এ তিন ভাষায় শিক্ষা নিচ্ছে। ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।বাংলাদেশ সাম্প্রতি অসংখ্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলও গড়ে উঠেছে।সেই সাথে আরবী ভাষা শিখাও জরুরি।ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারনে ছেলেমেয়েরা ইংরেজি বেশ ভালো বলতে পারে। মাদ্রাসা বোর্ডের ছেলেমেয়েরা আরবী তে অনেক ভালো। কিন্তু এই শিক্ষার্থীরা বাংলা বলতে পারে না, জানে না ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস টুকু,বুঝতে পারেনা বাংলার তাৎপর্য।আমি ইংরেজি বা আরবী ভাষার বিরুদ্ধে নই কিন্তু আমাদের সর্বপ্রথম বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
বাঙালি অনেকেই জানেন না ১৯৫২ সালে ঠিক কি হয়েছিল কেনো হয়েছিল ? জানে না শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস কি বা কবে? একুশে ফেব্রুয়ারি যে শুধু মাতৃভাষা দিবস না শহীদ দিবসও এটা জানে না অনেকেই।এমনই একটি চিত্র উঠে এসেছে ২০১৬ সালের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে।
বাংলা ভাষা, বাংলা দেশ এগুলোর জন্য কত দাম যে আমাদের দিতে হয়েছে তা সারা বিশ্ববাসী জানে,জানি না শুধু আমার বাঙালিরা,জানাতে পারছিনা নতুন প্রজন্মকে।পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ভাষা বাংলাভাষা। দু'দুবার লাখো প্রাণের দানে অর্জিত এই বাংলাভাষা আর এই বাংলাদেশে। বায়ান্ন তে বুকে গুলি নিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ কারার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বলেছেন (রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই)। একাত্তরে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য লাখো বীর সন্তান শহীদ হয়েছেন।
১৯৫২ সালের, ১৯৭১ সালের সেই শহীদ দের আমরা কিভাবে ভুলতে পারি?যারা ভাষার জন্য দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করলেন?
বাংলা কি ? বাংলা কেনো ? বাংলা কিভাবে আমাদের হল? তা জানা এবং সঠিক মর্যাদা দেওয়া বাঙালির জন্মগতভাবে বাঙালি হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য ।
আরও জানতে click here
আরও জানতে click here

